পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের আউটলেটে জমেছে নতুন সব পন্যের সমাহার

পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের আউটলেটে জমেছে নতুন সব পন্যের সমাহার

ঘরকে বলা হয় শান্তির নীড়। কর্মস্থলের নানামুখী ব্যস্ততা আর চাপ সামাল দিয়ে দিনশেষে মানুষ ফিরে ঘরে। ঝেড়ে ফেলে সারাদিনের ক্লান্তি আর ধকল। শান্তির নীড় ঘর আরও মনোমুগ্ধকর ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হতে পারে গৃহসজ্জার মাধ্যমে। তাতে করে ইট-কাঠের নিষ্প্রাণ-নির্জীব ঘরও হয়ে উঠতে পারে প্রাণবন্ত। আর ঘরে ফিরে সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় ক্লান্ত চোখ জুড়ানোর পাশাপাশি মনও শান্ত হতে পারে।

প্রতিটি মানুষেরই নিজের ঘর নিয়ে থাকে হাজার স্বপ্ন। অনেকে একই ঘরে শৈশব, যৌবন কাটিয়ে বার্ধক্যে প্রবেশ করে। সেই ঘরেই আবার আগমণ ঘটে নতুন প্রজন্মের। তাই ঘরের আসবাবপত্র এদিক ওদিক করে আর কতদিনই বা পরিবর্তন করবেন ঘরের সাজ? বছরের পর বছর একই মেজাজের ঘরে না থেকে ঘরকে বরং সাজিয়ে তুলুন আপনার মেজাজ অনুসারে।

আমাদের ঘর আমাদের প্রতিটি সুন্দর দিনের, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের পটভূমি হিসেবে থাকে। আমাদের প্রতিদিনকার কাজ, ব্যস্ততা, অবসর, পছন্দ-অপছন্দ অনুসারে ঘরকে একটু সাজিয়ে নিলে মুহূর্তগুলো সুন্দর ও জীবন সহজ হয়।

ব্যক্তির সৌন্দর্যবোধ ও রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায় তার গৃহের সাজসজ্জা দেখে। এমনকি ব্যক্তি হিসেবে একজন কেমন তারও একটি ধারণা দেয় তার গৃহসজ্জা। আপনি খুব চুপচাপ শান্ত মেজাজের, নিজের সাথে নিজে সময় কাটাতে পছন্দ করেন, তবে ঘরের এক কোণে সাজিয়ে ফেলতে পারেন একটি রিডিং কর্ণার। এক পাশে তাকে রাখা থাকবে আপনার পছন্দের সব বইগুলো, আরাম করে বসার জন্য দুই সিটের একটি সোফা আর ফ্লোরে শতরঞ্জি। আর খুব আড্ডাবাজ হলে কয়েক সেট সোফা রেখে আড্ডা জমিয়ে তুলুন ঘরেই। মাথার উপর ঝোলাতে পারেন হালের নতুন ফ্যাশন পেনডেন্ট লাইট।
ব্যস্ত নগরীর ব্যায়বহুল জীবনযাত্রায় আমরা অনেকসময়ই সাধ্যের সাথে সাধের সামঞ্জস্য করতে পারি না। তখন ওই ছোট ফ্ল্যাটটাকে ঘিরেই সাধ পূরণ করতে হয় অনেকের। স্থানসল্পতার জন্য পুরো ঘরেই যেন চাপা চাপা অনুভূতি দেয়। তবে ঠিকঠাক গৃহসজ্জার মাধ্যমে কিন্তু আপনি এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেন সহজেই। ছোট রুমের জন্য নিয়ে আসতে পারেন নানান আকারের, নানান ঢংয়ের আয়না। দেয়ালে হালকা কোন রং আর রুমে থাকবে পর্যাপ্ত আলো। আলোর জন্য লাগাতে পরেন হ্যাঙিং লাইট।

গৃহসজ্জায় আলোর ব্যবহার কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আলো আমাদের শরীর ও মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। ছোট রুমে উজ্জল আলো থাকলে রুমকে ততটা ছোট মনে হয় না। আর রুম বড় হলে আলোর ব্যবহার করতে পারেন আরও চমৎকারভাবে। পড়ার ঘর আর রান্নাঘরে উজ্জল আলো, শোবার ঘরে স্নিগ্ধ আর বসার ঘরে আপনার পছন্দমতো মৃদু যেকোন আলো দিয়ে সাজাতে পারেন। ডাইনিংয়ে রাখতে পারেন ছোট বড় ক্যান্ডেল স্ট্যান্ড। তাহলে ছোট খাট উপলক্ষে্য ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করে ফেলতে পারবেন ঘরেই।

ঘর সাজাতে গিয়ে আমরা সবাই মনে হয় বসার ঘরের দিকে মনযোগ একটু বেশি দেই। যত আকর্ষণীয় সৌন্দর্যবর্ধক সংগ্রহে আছে সবই যেন বসার ঘরে রেখে দিতে চাই। চাইবোই বা না কেন! বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে যে কেউই কিন্তু বাসায় এসে প্রথমেই প্রবেশ করে বসার ঘরে। সেখানেই জমে আড্ডা, খাওয়া দাওয়া, আর একটু পর পর ক্যামেরায় ক্লিক ক্লিক শব্দে তোলা হয় গ্রুপ সেলফি। তাই বসার ঘর সাজানো নিয়ে সবারই চলে বিশাল গবেষণা, সেই সাথে ব্যাপক প্রস্তুতি।

এসব নানান কারণে বসার ঘরের সাজ প্রকাশ করে আপনার আমিত্বকে। আপনার পছন্দের রং, শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে আপনার ভাবনা, আপনার সংগ্রহ সবই স্থান পায় আপনার বসার ঘরে। সেই সাথে থাকতে পারে আভিজাত্যের ছোঁয়াও। অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাখতে পারেন দারুণ সব ডিজাইনের সোফা সেট। সোফার রং ও ডিজাইনে আনতে পারেন ভিন্নতা। সোফার পাশের ছোট টেবিলের উপর রাখতে পারেন অসাধারণ ডিজাইনের যেকোন ডেকোর ট্রে। আপনার মূল্যবান সংগ্রহ থেকে ছোট আকৃতির যেকোন কিছু সাজিয়ে রাখতে পারেন ট্রে তে।
শহুরে জীবন যেন চার দেয়ালের গল্প। বাসার কংক্রিটের দেয়ালগুলো আমাদের হাজারো সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সাক্ষী হয়। দেয়াল জুড়ে যেন প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনের গল্পগুলোই প্রতিচ্ছবি হয়। আমাদের পছন্দেরা স্থান পায়। তাইতো এই দেয়ালগুলোকে আমরা চেষ্টা করি নানান উপকরণ দিয়ে নানাভাবে রাঙিয়ে তুলতে। যাতে সেগুলো আমাদের জীবনের গল্পে রঙ ছড়ায়।


আপনাদের দেয়ালে রঙ ছড়াতে, জীবনের গল্পে রঙ-তুলির আচড় দিতে রুচিশীল ও উন্নতমানের পেইন্টিংস দেয়াল সাজাতে পারেন। একই আকৃতির দুই তিনটি পেইন্টিং টাঙাতে পারেন এক দেয়ালে। পেইন্টিং বা চিত্রকর্ম আমাদের ঘরকে আরও প্রণবন্ত করে তোলে। এছাড়াও বসার ঘর হলো যেকোন শোপিস রাখার একদম উপযুক্ত একটি স্থান। আপনার সংগ্রহে থাকা সব অসাধারণ শোপিসগুলোর জন্য বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ তাক।

দরজা দিয়ে ঢুকে বসার ঘর পর্যন্ত আসার জায়গার দেয়ালে রাখতে পারেন লম্বাটে ধরনের কোন পেইন্টিং। সেই সাথে রাস্তার ধকল পেরিয়ে আপনার বাসায় আসা আগুন্তকদের কথা ভেবে সেট করে দিতে পারেন অসাধারণ আভিজাত্যপূর্ণ একটা আয়না।

ঘরে ফেরার তাড়া আছে বলেই কাজ নিয়ে বাইরে আমরা এতো ব্যস্ত থাকি। তাই ব্যস্ত জীবনে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটালেও দিনশেষে আমরা ঘরে ফিরি। আমাদের স্বপ্নের গৃহেই রচিত হয় আমাদের পাওয়া না পাওয়া, হাসি কান্নার সব গল্প। শিল্পের সাথে তাই ঘরকে দিতে পারেন সবুজের নির্মল পরশ। পছন্দের কোন ফুলদানিতে সাজাতে পারেন আপনার পছন্দের ফুল।

P2P তে আছে আপনার ইট কাঠের ঘরে আপনার নিজস্বতাকে ফুটিয়ে তোলার সব সরঞ্জাম। তাই আপনার গৃহের অগোছালোভাব ঝেড়ে ফেলে সাজিয়ে তুলুন আপনার নিজস্ব ভাবনাগুলো ঘরের প্রতিটি কোণে।P2P এর সাথে।

Back to blog