
ডিনার ওয়াগন: শুধু ফার্নিচার নয়, পরিবারের ঐতিহ্য
Share
ডিনার ওয়াগন মানে শুধু খাবারের পাত্র রাখার জায়গা না—এটা আমাদের পারিবারিক আড্ডা, অতিথি আপ্যায়ন আর স্মৃতির সঙ্গী। পরিবার বা আত্মীয়রা সবাই যখন একসাথে কোনো আয়োজন উপলক্ষে এক হই, তখন এই ডিনার ওয়াগনকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে অনেক মধুর স্মৃতি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যে থালা-বাটি-ক্রোকারিজ আমাদের হাতে আসে, সেগুলো যত্ন করে সাজিয়ে রাখতে এই ডিনার ওয়াগনের জুড়ি নেই। আর তাই, আমাদের প্রিয় জিনিসগুলো যত্নে রাখা এই ডিনার ওয়াগনেরও চাই কিছু বিশেষ যত্ন।
১. প্রতিদিনের ছোট্ট যত্ন
খাবার শেষে সব গুছিয়ে রাখার পর নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন। এতে দাগ পড়বে না আর কাঠের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্যও ঠিক থাকবে।
২. পানি হতে সাবধান
ডিনার ওয়াগনে থালা-বাটি রাখার সময় ভালোভাবে পানি মুছে তারপর রাখুন। কাঠের ডিনার ওয়াগনে পানি জমে থাকলে এর কাঠ বা ফিনিশিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩. মাসে একদিন বিশেষ যত্ন
কাঠের ডিনার ওয়াগনে মাসে একবার কাঠের পালিশ বা লেমন অয়েল ব্যবহার করুন। তবে এর গ্লাস টপে ভিন্ন ভিন্ন ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে।
৪. রোদ থেকে দূরে রাখুন
সরাসরি সূর্যের আলো কাঠকে ফিকে করে দেয়। তাই সম্ভব হলে ডিনার ওয়াগনটিকে জানালা বা রোদ পড়া জায়গা থেকে দূরে রাখুন।
৫. হালকা মেরামত, বড় সমাধান
ড্রয়ারে সমস্যা বা চাকা আটকে গেলে দেরি না করে সাথে সাথেই মেরামত করে ফেলার চেষ্টা করুন। ছোট সমস্যাকে অবহেলা করলে আপনার সাধের ডিনার ওয়াগনে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
৬. প্রজন্মের জন্য রেখে যাওয়া
নিয়মিত সঠিক যত্ন নেয়ার চেষ্টা করুন। কখনো পাল্লাগুলো খুলে দিয়ে ভেতরে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা, বছরে একবার এর ভেতরের ধুলোগুলো ঝাড়া কিংবা সার্টিফাইড বি ওয়্যাক্স দিয়ে একবার পলিশ করে নিলে আপনার প্রিয় এই ডিনার ওয়াগন টিকবে বহুদিন। আর হয়তো আগামী প্রজন্মের কাছে এটাই হয়ে উঠবে নস্টালজিয়া। তাই যত্নটা শুধু এখনকার জন্য নয়, নেয়া উচিত ভবিষ্যতের জন্যও।
শেষ কথা
ডিনার ওয়াগনের যত্ন মানে আসলে পারিবারিক বন্ধনকে সম্মান করা। একটু যত্নে যদি আসবাব থাকে টেকসই, তাহলে আমাদের গল্পও থাকবে অমলিন, আন্তরিকতার সাথে।
আপনার ঘরের জন্য একেবারে মনের মতো ডিনার ওয়াগন পেতে আমাদের শোকেস ডিনার ওয়াগন কালেকশন দেখে নিতে পারেন এখনই। সরাসরি কথা বলতে চাইলে কল করুন ০১৭০৯৬৬৫০৪৬ এই নাম্বারে। আর যদি নিজে এসে আমাদের ফার্নিচার কাছ থেকে দেখতে চান, তাহলে ভিজিট করুন আমাদের শোরুম–এ।