কেন যাবেন জাতীয় ফার্নিচার মেলায়?

কেন যাবেন জাতীয় ফার্নিচার মেলায়?

জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুধু একটি প্রদর্শনী নয়—এটি দেশের ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় আয়োজন, যেখানে সৃজনশীলতা, ডিজাইন আর প্রযুক্তির অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই মেলায় অংশ নিয়েছিলো প্রায় ১০০ ব্র্যান্ড। আর সেখানে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দের ফার্নিচার দেখে নিতে এসেছিলেন প্রায় ১৫-২০ লাখ দর্শনার্থী ও ক্রেতা।  
আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫-এ ও এর ব্যতিক্রম হবে না। কারণ ক্রেতাদের আধুনিক পছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে এবারের মেলার মূল থিম “মডার্ন হোম ফার্নিচার”, যা যেকোনো স্পেসকে করবে আরও স্টাইলিশ, কার্যকরী এবং সমসাময়িক জীবনের সঙ্গে মানানসই।

নিচেই জানুন কেনো আপনার এই মেলাটা মিস করা উচিত নয়—
 
১. মডার্ন হোম ফার্নিচারের দারুণ কালেকশন
এবারের মেলা কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আধুনিক ঘরের জন্য স্মার্ট, স্পেস-সেভিং ও নান্দনিক ডিজাইনের ফার্নিচার। আপনি খুঁজে পাবেন এমন ফার্নিচার যা শুধু সুন্দর নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে এনে দেবে আরাম ও সহজতা। এখানে থাকছে স্টাইলিশ সোফা সেট, বেডরুম কম্বো, ইন্টেরিয়র ডেকোরের মডার্ন সেট কিংবা সিঙ্গেল পিস যা আপনার স্পেসকে করে তুলবে একদম আপনার রুচি ও ট্রেন্ডের মতোই মডার্ন।

 
২. এক ছাদের নিচে দেশ সেরা সব ব্র্যান্ড
এক জায়গায় হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ও নির্ভরযোগ্য ফার্নিচার ব্র্যান্ডগুলো। যাদের মাঝে আছে অটবি, আকতার ফার্নিচার, ব্রাদার্স ফার্নিচার, নাভানা ফার্নিচার, পিটুপি ফার্নিচার, নাদিয়া ফার্নিচার, ইশো, হাতিল, পারটেক্স ফার্নিচার, রিগারল ফার্নিচারের মতো জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ড। এখান থেকে তাই আপনার পছন্দ, বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী তুলনা করে বেছে নিতে পারবেন উপযুক্ত পণ্য।


 
৩. নতুন কালেকশন ও ডিজাইন এক্সপ্লোর করার সুযোগ
প্রায় সব ব্র্যান্ডেরই যেসব ডিজাইন এখনো বাজারে আসেনি, সেগুলোর প্রথম প্রদর্শন হচ্ছে এই মেলায়। তাই আপনি পাবেন ট্রেন্ডসেটিং ডিজাইন দেখার অনন্য সুযোগ। অটবি, নাভানা, পিটুপি ফার্নিচার-এর মতো ব্র্যান্ড এবার বেশ কিছু এক্সক্লুসিভ মডার্ন হোম ফার্নিচার নিয়ে আসছে।    
 
 ৪. আকর্ষণীয় ছাড় ও স্পেশাল অফার
মেলা উপলক্ষে প্রায় সব ব্র্যান্ডই দিচ্ছে ০% ইএমআই, ১৫% বা তার চাইতেও বেশি ছাড়ের মতো এক্সক্লুসিভ অফার ও প্যাকেজ ডিল। তাই এখনই সময় আপনার সেরা কোয়ালিটির দারুণ ডিজাইনের ফার্নিচার কেনার।   
 
৫. কাস্টমাইজেশনের স্বাধীনতা
আপনার স্পেসের মাপ, রঙ কিংবা স্টাইল অনুযায়ী ফার্নিচার ডিজাইন করতে পারবেন সরাসরি ব্র্যান্ড রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে আলোচনা করে। তাছাড়া পিটুপি ফার্নিচারের মতো ব্র্যান্ডের স্টলে থাকে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের মতামত নেয়ারও সুযোগ। দরকার বুঝে এইসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনার স্পেসকে সাজিয়ে তুলুন একদম আপনার মনের মতো করে।
 
৬. ইন্টেরিয়র ইন্সপাইরেশন পাওয়ার জায়গা
আপনি যদি ঘর সাজাতে নতুন আইডিয়া খুঁজে থাকেন, তাহলে এই মেলা আপনার জন্য পারফেক্ট জায়গা। এখানকার সেটআপ, রঙের ব্যবহার, আর সাজানোর স্টাইল আপনাকে দেবে নতুন অনুপ্রেরণা। তাছাড়া কিছু কিছু স্টলে ইন্তেরিয়র ডিজাইনের সাথেও ডিস্কাস করার সুযোগ পেতে পারেন।


 
৭. গুণমান ও কারিগরির সেরা উদাহরণ
প্রতিটি ব্র্যান্ড তাদের সেরা কারিগরদের তৈরি কাজ প্রদর্শন করে। এখানেই বুঝতে পারবেন আসল কোয়ালিটি ও নিখুঁত ফিনিশিংয়ের পার্থক্য। গ্রাহককে সেরা প্রোডাক্ট দেয়ার এই অসাধারণ প্রতিযোগিতায় আপনি থাকছেন পুরোই লাভের দিকে।  
 
৮. হোম ডেকর, লাইটিং ও এক্সেসরিজের বৈচিত্র্য
ফার্নিচারের পাশাপাশি থাকবে ঘর সাজানোর অন্যান্য উপকরণ—লাইটিং, আর্টওয়ার্ক, কার্পেট, এমনকি ওয়াল ডেকর। পুরো ঘর সাজানোর পূর্ণ সমাধান এক জায়গায়।
 
৯. স্পেশালিস্টদের সঙ্গে দেখা ও শেখার সুযোগ
এই মেলায় ফার্নিচার ডিজাইনার, আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আর ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে জানতে পারবেন ইন্ডাস্ট্রির সাম্প্রতিক ট্রেন্ড ও ইনোভেশনগুলো।  
 
১০. পরিবারসহ উপভোগ্য একটি দিন
মেলায় ঘোরা, কফি খাওয়া, ছবি তোলা—সব মিলিয়ে পুরো পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করার মতো এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা।


 
সব কথার শেষ কথা

জাতীয় ফার্নিচার মেলা মানে শুধু কেনাকাটা নয়, বরং আপনার ঘর, জীবন ও স্টাইলের সঙ্গে মানানসই সেরা সমাধান খুঁজে পাওয়ার সুযোগ।

তাই বলুন, এবার যাচ্ছেন তো মেলায়?

Back to blog